ঈদের তৃতীয় দিনে পর্যটকের ঢল, মুখরিত কক্সবাজার
- হোটেল-মোটেলের ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকড
- ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ লাখ পর্যটকের সমাগমের আশা
- নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তরের বলয়, তথ্যকেন্দ্র স্থাপন
আরবিএন কক্সবাজার অফিস:
ঈদের তৃতীয় দিনে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সৈকতের মূল তিনটি পয়েন্ট কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী ছাড়াও ইনানী, পাটুয়ারটেক, হিমছড়িসহ জেলার অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের আনাগোনা বহুগুণে বেড়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই এসব স্পট পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ঢেউয়ের তালে সকাল থেকেই গোসলে নেমে পড়েন অনেক পর্যটক। কেউ সৈকতের ঘোড়া, জেটস্কি, ওয়াটার বাইক, টিউব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কিটকট ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মেহেদী হাসান বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছেন। প্রচণ্ড গরম থাকলেও সৈকতের নোনা জলে পা ভেজাতে পেরে তারা খুশি। চট্টগ্রাম থেকে পরিবার নিয়ে আসা মুনমুন জানান, প্রথমবার কক্সবাজারে এসে তারা অভিভূত। তবে হোটেল বুকিং না দিয়ে আসায় রুম খুঁজতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। ভালো মানের হোটেলের ভাড়া তাদের বাজেটের বাইরে।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের সাড়ে পাঁচ শতাধিক হোটেলের প্রায় ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকড হয়ে গেছে। তৃতীয় দিন থেকে শতভাগ বুকিং পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটকের ঢল অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর উপদেষ্টা এস এম কিবরিয়া খান জানান, ঈদের প্রথম দিনে পর্যটক কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন থেকে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ১ এপ্রিল এক লাখের বেশি পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন এবং ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, সৈকত ও হোটেল মোটেল জোনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় রাত দিন দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সৈকতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জারি রয়েছে। মূল তিনটি পয়েন্টে আলাদা আলাদা তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
সৈকতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত লাইফ গার্ড কর্মীরা জানান, ঈদের তৃতীয় দিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তিনটি পয়েন্টসহ আবাসিক হোটেলগুলোতে দেড় থেকে দুই লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজে শতভাগ বুকিং হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সবমিলিয়ে কক্সবাজারে দুই লক্ষাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। এই ছুটিতে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
0 মন্তব্যসমূহ