ফিলিস্তিনের সমর্থনে মাতারবাড়ি কোল পাওয়ারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনতার মানববন্ধন

 

ফিলিস্তিনের সমর্থনে মাতারবাড়ি কোল পাওয়ারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনতার মানববন্ধন

এরফান হোছাইনঃ

//গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’র সমর্থন
//কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকের সামনে সংহতি প্রকাশ
//ইসরায়েলকে আর্থিক সহায়তা প্রদানকারীদের বয়কটের আহ্বান


ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে বিশ্বজুড়ে পালিত ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছে মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় সাধারণ জনগণ।

আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকের সামনে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)-এর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভমানববন্ধন করেন

এসময় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অতিরিক্ত প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের এডমিন  সাজ্জাদুর রহমান, প্রকৌশলী আরাফাতুর রহমান (পরিবেশ) সহ কর্মকর্তাস্থানীয় অনেকেই



এই প্রতিবাদ কর্মসূচি মূলত ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তাদের অবিচল সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করে। অংশগ্রহণকারীরা তাদের বক্তব্যে গাজায় চলমান ভয়াবহ গণহত্যা, দীর্ঘদিনের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান ানান



মানববন্ধনে বক্তারা ইসরায়েলকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং তাদের উৎপাদিত পণ্য বয়কটের জন্য জোরালো আহ্বান জানান। তারা বলেন, এই অর্থনৈতিক চাপ ইসরায়েলের উপর নীতি পরিবর্তনের জন্য সহায়ক হতে পারে। ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পক্ষে এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার উপরও তারা গুরুত্বারোপ করেন।



উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান দীর্ঘকাল ধরে চলছে, যাতে বহু ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক, বিশেষ করে নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মাতারবাড়ীর এই মানববন্ধন সেই বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদেরই একটি অংশ, যেখানে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ