"কিস করি", ১১ বছরের শিশু পর্যটক মেয়েকে কুপ্রস্তাব, প্রতিবাদে ভাই-বোনদের মারধর



 "কিস করি", ১১ বছরের শিশু পর্যটক মেয়েকে কুপ্রস্তাব, প্রতিবাদে ভাই-বোনদের মারধর

পর্যটকের শিশুকন্যাকে কুপ্রস্তাব, প্রতিবাদে স্বজনদের ওপর হামলা, ৪ বখাটে গ্রেফতার


/সুগন্ধা পয়েন্টে অপ্রীতিকর ঘটনা, উত্ত্যক্তকারীর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

/প্রতিবাদ করায় পর্যটকদের ওপর হামলা, আটক ৪ বখাটে

/পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস



এরফান হোছাইনঃ

কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে একদল পর্যটকের ১১ বছর বয়সী মেয়ের সাথে কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এর প্রতিবাদ করলে মেয়েটির ভাই ও বোনদের মারধর করে অভিযুক্ত বখাটেরা। 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।


জানা যায়, কুমিল্লা থেকে আগত এক পর্যটক পরিবার সুগন্ধা পয়েন্টে ঘুরতে গেলে চার যুবক তাদের উত্যক্ত করতে শুরু করে। এদের মধ্যে জুয়েল নামের এক যুবক উক্ত পরিবারের সাথে ঘুরতে আসা ১১ বছরের মেয়ে শিশুটির কাছে গিয়ে আপত্তিকর প্রস্তাব দেয় এবং শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত করে। শিশুটি এর প্রতিবাদ করলে জুয়েল আরও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে এবং তার বড় বোনকেও একই প্রস্তাব দেয়।

বখাটেদের এমন নির্লজ্জ আচরণে ভয় পেয়ে শিশুটি চিৎকার করে তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। শিশুটির ভাই আরদিন সরকার (২২) প্রতিবাদ করলে জুয়েল ও তার সঙ্গীরা—জাহেদ, সামি ও জয়নাল—মিলে তাকে বেদম মারধর করে। ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শিশুটির বোনদের ওপরও হামলা চালানো হয়।

আটককৃত জুয়েল, যে চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা এবং ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ছাত্র, প্রাথমিকভাবে তার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছে। সে জানায়, মেয়েটিকে দেখে তার খুব ভালো লেগেছিল তাই তাকে ও শিশু মেয়ের বোনকে কিস করা সহ কুপ্রস্তাব দেয় এবং সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এমন কাজ করে ফেলেছে বলেছে জানান। 


এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে শিশু পর্যটকের মেয়ের ভাই আরদিন ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ দৈনিক পূর্বকোণকে জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্ত চার যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পর্যটন এলাকায় এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ