ঈদের আগেই প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদ, যুদ্ধবিরতির আহ্বান

 


রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নতুন সুর, জান্তার পর আরকান আর্মির সম্মতি
//ঈদের আগেই প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদ, যুদ্ধবিরতির আহ্বান
//মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগ
//ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, মোদির বার্তা

এরফান হোছাইন, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নতুন আশার আলো দেখা যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পর এবার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, "রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে এক টেবিলে বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।" তিনি আরও জানান, ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকার কাজ করছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ব্রিন্সটেক সফর প্রসঙ্গে ড. খলিলুর রহমান বলেন, আগামী দুই বছর বিমসটেক সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় যোগসূত্র তৈরি এবং মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে শুধু সমুদ্রতীরের দেশ নয়, আরও অনেক দেশ উপকৃত হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানালে মোদি স্পষ্ট জানান যে, ভারত কোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে নয়, বরং একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক বজায় রাখবে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এই উচ্চ প্রতিনিধি বলেন, যখনই অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করতে চেয়েছে, তখনই সেই ভালো কাজগুলোকে লাইনচ্যুত করার একটি অপচেষ্টা দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধন ও সহিংসতার শিকার হয়ে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা চেয়ে আসছে। আরাকান আর্মির এই সম্মতি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় নতুন গতি আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ