বাঁকখালী দখলের অবসান আসন্ন, দ্রুত উচ্ছেদ অভিযানের ঘোষণা নৌপরিবহন উপদেষ্টার

 



//অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে উচ্ছেদের নির্দেশ, ৭-৮ দিনের মধ্যে অভিযান শুরু


//নদীবন্দর নির্মাণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর হুশিয়ারি


//১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগকে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি পরিবেশ উপদেষ্টার



এরফান হোছাইনঃ

কক্সবাজারের জীবনরেখা খ্যাত বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখল খুব শিগগিরই উচ্ছেদ করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার শহর সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর বেদখল হওয়া জমি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, নদীর সীমানায় অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাদের উচ্ছেদ করে নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নদীবন্দর প্রতিষ্ঠার স্বার্থে যেকোনো অবৈধ স্থাপনা, এমনকি বহুতল ভবনও ভেঙে ফেলা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দখলদাররা নিজেরাই সরে যাবেন, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজোয়ানা হাসানও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানান, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে এবং যেখানে আইনি জটিলতা রয়েছে, সেখানে আইনিভাবেই মোকাবেলা করা হবে। তিনি বাঁকখালী নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করার ওপর জোর দেন।

অন্যদিকে, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজোয়ানা হাসান একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, কক্সবাজারে অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি খুব শীঘ্রই বন বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ পরিবেশ সুরক্ষায় একটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখল ও দূষণ দীর্ঘকাল ধরে একটি উদ্বেগের বিষয়। নদীটির নাব্যতা হ্রাস পাওয়া এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে স্থানীয় জনসাধারণ ও পরিবেশবাদীরা সরব ছিলেন। নৌপরিবহন ও পরিবেশ উপদেষ্টাদের এই যৌথ পরিদর্শন এবং দ্রুত উচ্ছেদ অভিযানের ঘোষণার ফলে বাঁকখালী নদীর সুরক্ষা এবং নদীবন্দর প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া আরও বেগবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ