এরপর জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। তিনি ক্যাম্প-১৮ তে লার্নিং সেন্টারে শরণার্থী ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং ইউনিসেফ ও ডব্লিউএফপি’র পক্ষ থেকে খাদ্য পরিস্থিতি তুলে ধরা তথ্য প্রজেকশন অবলোকন করবেন। পরে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার পরিদর্শন ও সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন।
সন্ধ্যায় ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন হেলিপ্যাড এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার আয়োজনে লক্ষাধিক রোহিঙ্গার জন্য ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজারে জুমার নামাজ আদায়সহ নির্ধারিত কর্মসূচি শেষে ইফতার মাহফিলে যোগ দেবেন।
রোহিঙ্গারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় তারা স্বদেশে ফিরে যেতে পারবেন। তারা দুই নেতার কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরতে চান। একই সঙ্গে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) খাদ্য সহায়তা কমানোর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করতে চান।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।
দীর্ঘ আট বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। উল্টো গত কয়েক মাসে নতুন করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের কর্মকর্তারা জানান, তারা জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে দ্রুত আরাকানে নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করে স্বদেশে ফেরার ব্যবস্থা করার দাবি জানাবেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব বালুখালী আশ্রয় শিবিরের একটি লার্নিং সেন্টার ও ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এছাড়া, রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা, তরুণ ও নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সবশেষে, প্রধান উপদেষ্টাসহ ইফতার করবেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার সফর ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ