কক্সবাজার আরবিএন ডেস্ক:
কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনের নিকটবর্তী পাঁচটি বালুমহাল ইজারা না দিতে দুই সচিবসহ ১৩ সরকারি কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস)। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো এই নোটিশে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালি-১, রামু উপজেলার ধলিরছড়া ও পানিরছড়া এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালী ও হিজলিয়া বালুমহাল বিলুপ্ত ঘোষণা করে ইজারাবহির্ভূত রাখার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এসব বালুমহাল ইজারাযোগ্য তালিকার বাইরে না করা পর্যন্ত ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিতের অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও, খুটাখালি খালের সীমানা নির্ধারণ করে খালটি রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়েছে।
যাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক, কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং চকরিয়া, রামু ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
নোটিশে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ১৪৩২ বাংলা সনে ২৭টি বালুমহালের তালিকা প্রস্তুত করে ১১ মার্চ ইজারা বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এর মধ্যে খুটাখালি-১ একটি খাল, যা সংরক্ষিত বনের পাশে অবস্থিত এবং বন্য হাতির বিচরণক্ষেত্র। এর আগে এই বালুমহাল ইজারা দেওয়ায় সংরক্ষিত বনভূমির পাহাড়ধসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রামু ও উখিয়ার বালুমহালগুলোও বনভূমির ১০০ ফুটের মধ্যে অবস্থিত। বন বিভাগও এসব বালুমহাল ইজারা না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
আইন অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু তোলা নিষিদ্ধ। বালুমহাল চিহ্নিত করার আগে রাজস্ব কর্মকর্তার পরিদর্শন ও প্রতিবেদন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি হলে বালুমহাল বিলুপ্ত করার বিধানও রয়েছে। কিন্তু নোটিশপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসব বিধান পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ