কক্সবাজারে ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট থেকে ই'য়া'বা লুট, নিরব প্রশাসন!

 


নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্টের ৫০৫ নম্বর কক্ষ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ)  ভোররাত আনুমানিক ২:৩০ টার দিকে সংঘটিত এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় পর্যটন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।



স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলাতলীর শীর্ষ ছিনতাইকারী সোহেল ও ডিলার রফিকের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতকারী এই ছিনতাই চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে ইয়াবা পাচারকারীদের কাছ থেকে তিন কার্টুন (৩০-৪০ হাজার পিচ)  ইয়াবা ছিনিয়ে নেয়।  যার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকারও বেশি। ছিনতাইয়ের পর তারা মোটরসাইকেলযোগে চন্দ্রিমা এলাকায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে ইয়াবা ভাগাভাগি করে।



উক্ত হোটেলের একাধিক কর্মকর্তা সহ সিইও আনোয়ারুল আরিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
উক্ত ঘটনায় পাওয়া ২৬ শে মার্চ এ প্রাপ্ত এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ২৪ মার্চ ভোর রাত ১২:২৬ এর সময় সোহেল গং লিফটের সামনে দাড়াতে দেখা যায়।

এর মধ্যে ছিনতাইকারীদলের কিছু সদস্য মেইন রোড়ের সামনে বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছে আর কিছু রিসিপশনের সামনে ঘুরঘুর করছে। আবার কয়েকজন ৫ম তলায় ৫০৫ নং রুমে প্রবেশ মূখে।  দু'ঘন্টা পরে ইয়াবা বাণ্ডেল নিয়ে সোহেল সহ তার কয়েক সহকর্মী ইয়াবা নিয়ে বের হতে দেখা যায়৷ তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সিন্ডিকেটের কয়েকজন নিয়ে কয়েকটি বাইকে চন্দ্রিমার দিকে যায়।



অভিযুক্ত সোহেল কলাতলীর ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, সোহেল ও তার দল পর্যটকদের ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো নানা অপরাধে জড়িত। সোহেলের বাবা বাবুল আরআরআরসি অফিসের একজন ড্রাইভার। জেল থেকে ফিরে এসে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

তার বাবা চন্দ্রিমায় জলোরঘোনায় বিশাল জায়গা ক্রয় করেন এবং কক্সবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সরকারি জায়গা দখল করে বহুতল ভবন করেন।



বাবুলের পুত্র সোহেল জলোরঘোনার কৃষক ইউনুছের জায়গা দখল করে নেন। পরবর্তীতে এই সন্ত্রাসী সোহেলের কারণে ভুক্তভোগী অসহায় হয়ে ইউনুছ পরের বাড়িতে আশ্রয়ে কোনভাবে বেচে আছে। 

২০২৪ সালে  ছুরিকাঘাতে পিচ্ছি সুমন হত্যার ঘটনাটি সোহেল ঘটিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। 

অনেক প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল গং এর ছিনতাইয়ের দৃশ্য দেখলেও তা নিয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না।  উক্ত এলাকার টপ টেরর হিসেবে চিহ্নিত সোহেল যেন এলাকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অনেকের। মুখ খুললেই খুন করার হুমকিও দেয় সে। এমনকি সে একাধিক হত্যাকান্ডের মিশনে লিডার হিসেবে বেশ আলোচিত।

২০২৪ সালে চন্দ্রিমা হাউজিং সোসাইটি এলাকায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় সোহেলের নাম উঠে আসে। বারবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে আরও ভয়ংকর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই ঘটনায় কক্সবাজারের পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত সোহেলসহ তার দলের সদস্যদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এনিয়ে সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, ইয়াবা ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। এছাড়া লিখিত অভিযোগ না পেলে আমরা সেখানে কো অভিযান চালাতে পারবো না।

পরে এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি নিহাদ আদনান তাইয়ান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা জেনেছি। দ্রুত এই ইয়াবা ছিনতাইকারীদের দলে কারা কারা আছে আমরা খোঁজ নিচ্ছি৷ সে সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিচ্ছি। জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা জেনেছি। দ্রুত এই ইয়াবা ছিনতাইকারীদের দলে কারা কারা আছে আমরা খোঁজ নিচ্ছি৷ সে সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিচ্ছি।








একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ