কদরের নামাজে জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার, আ'লীগের প্রেসক্রিপশনে পুলিশি কার্যক্রমের নিন্দা

 


আবুল হাসেম (মহেশখালী)-

শবে কদরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে জামায়াত নেতা হানিফকে গ্রেফতার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কদরের মতো পবিত্র রাতে নামাজ শেষে গ্রেফতারের ঘটনা ‘আওয়ামী লীগের বর্বর আচরণকেও হার মানিয়েছে’।

২৭ মার্চ (শুক্রবার) রাত ১১টার দিকে শাপলাপুর ইউনিয়নের মৌলভীকাটা মসজিদ থেকে হানিফকে গ্রেফতার করা হয়

মহেশখালী থানার ওসি কাইছার হামিদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, গ্রেফতারকারী এসআই উত্তম কুমার জানান, হানিফের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনের ৩ ধারায় মামলা রয়েছে এবং ওয়ারেন্ট থাকার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাপলাপুরে পাঁচ হাজার ওয়ারেন্ট থাকলেও সবাইকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

এসআই উত্তম কুমার জানান, তিনি মহেশখালী থানায় যোগ দিয়েছেন মাত্র এক মাস আগে। ২৪ এর আন্দোলনের পর থেকে শাপলাপুরে আসামি গ্রেফতার প্রায় বন্ধ ছিল। তবে, হানিফের গ্রেফতারের পেছনে যৌক্তিক কারণ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। হানিফের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনের ৩ ধারায় মামলা থাকায় এবং ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, হানিফের স্ত্রী ও শ্বশুর এই গ্রেফতারকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তাদের মতে, ঈদের পর আপোষ মীমাংসার কথা ছিল।



জামায়াত নেতা জাকের হোসেন ওসির সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান, বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় হানিফকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

 হানিফের স্ত্রী জানান, তিনি স্বামীর বাড়িতেই আছেন এবং গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে তিনি অবগত নন। হানিফ বর্তমানে মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহকারী সেক্রেটারি এবং মহেশখালী উত্তর শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মহেশখালী থানার একাধিক কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছেন। হানিফের শ্বশুরবাড়ির লোকজন একসময় তাকে মারধর করলে, তিনি আদালতে মামলা করেন। 

অভিযোগ, এসআই সাজ্জাদ মামলার রিপোর্ট না দিয়ে বারবার টাকা নিয়েছেন। সাবেক শিবির সভাপতি কামরুল হাসান এবং আজিজ ওসির কাছে অভিযোগ জানালেও কোনো লাভ হয়নি।

সর্বশেষ কদরের নামায থেকে হানিফকে ধরে নিয়ে যায় মহেশখালী পুলিশ যা রিতীমত এলাকায় প্রশ্ন উঠেছে, এখনো কি মহেশখালী থানায় আ'লীগের দোসর রয়েছে?


হানিফের স্ত্রী অভিযোগ করেন, আদালত থেকে ১৭ তারিখ দেখা করার জন্য ফোন করা হয়েছিল, অথচ তার আগেই কদরের রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা মহেশখালী থানা পুলিশের অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ