মহেশখালীতে লবণ মাঠে শত্রুতা, চাষীরা বিপর্যস্ত

 


মহেশখালীতে লবণ মাঠে ৭ লাখ টাকার পলিথিন কেটেছে দুর্বৃত্তরা; কৃষকদের সর্বনাশ
//মহেশখালীতে লবণ মাঠে শত্রুতা, চাষীরা বিপর্যস্ত

এরফান হোছাইনঃ প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লবণ চাষের পলিথিন কেটে দেওয়ায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর পশ্চিমে নয়াকাটা ঘোনায়।
জানা যায়, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়াস্থ নয়াকাটা ঘোনার বেশির ভাগ জমি বদরখালী ইউনিয়নের। ওই ঘোনা থেকে বদরখালীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহামুদুল হক গং থেকে সাড়ে ৮ একর জমি দীর্ঘ এক যুগ ধরে লিজ নিয়ে লবণ চাষ করছেন কালারমারছড়ার ইউনুছখালী-মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লবণ ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও উক্ত জমি স্থানীয় রুবেল, কামাল, হুমায়ুন, বেলাল, আবদু শুক্কুর ও শিমুকে বর্গা চাষা হিসেবে নিয়োগ দেন। পুরো দমে উক্ত জমিতে লবণও উৎপাদন হচ্ছে।এ অবস্থায় কে বা কারা শনিবার রাতের অন্ধকারে ২১ কানি লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছে। এতে লবণ ও পলিথিনসহ ৭ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত লবণ চাষীরা জানিয়েছেন।
এদিকে উক্ত ঘোনার একাংশের মালিক মাহামুদুল হক জানান, এ জমির মালিকানা কেউ দাবি করলে সমাজে বিচার আছে। রাতের আঁধারে উৎপাদিত লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়ে এভাবে ক্ষতি সাধন করা অমানবিক বলে মনে করেন তিনি।ক্ষতিগ্রস্ত লবণ চাষী রুবেল জানান, সুদ মহাজনের কাছ থেকে তাঁরা টাকা নিয়ে উক্ত জমিতে লবণ চাষ করে আসছেন বছরের পর বছর। কোন সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ এ ধরনের ক্ষতি করায় তাঁর ও অন্যান্য লবণ চাষীদের পরিবারে চলছে বুক ফাটা আর্তনাদ। ক্ষতিগ্রস্ত লবণ চাষীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে তদন্ত পূর্বক দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান।এই ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা জানানদীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য প্রজেক্টেও এরকম অঘটন ঘটেছিলো।  কারো শত্রুতামি এর জের ধরেই এরকম ঘটনা ঘটে কিন্তু অপরাধীরা বার বার পার পেয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ