ছবি: হামলার নের্তৃত্ব দেওয়া মোজাহিদুল ইসলাম বাপ্পি (২২)
পেকুয়ায় মাটি কেটে টপসয়েল নষ্ট রোধের অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলার চেষ্টা
// ১ টি এসকেভেটর জব্দ
// ১ লাখ টাকা জরিমানা।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিণাফাডী এলাকার খাস খতিয়ানের জায়গা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করে টপসয়েল নষ্ট করার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে পেকুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর পেয়ারা বেগমের উপর হামলার চেষ্টা করেন স্থানীয় মোজাহিদুল ইসলাম বাপ্পির নেতৃত্বে একদল লোক।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ ( ২১ জানুয়ারি) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পেকুয়া হরিণাফাডী এলাকায়।
এ সময় পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সে সময় কাউকে কোন ছবি ধারন করতে দেওয়া হয়নি বলেও জানা যায়।ওখানে বাপ্পি সহ বহু লোক বলতে থাকে কোন ছবি বা ভিডিও করলে সমস্যা করে পেলব । পরে বাপ্পী ২০/৩০ লোক এনে পুলিশের সামনে এসিল্যান্ডকে নানা হুমকি দিতে থাকে। যার ফলে ভয়ে কেউ ছবি তোলার সাহস পায়নি।
জানা যায়, মোজাহিদুল ইসলাম বাপ্পি (২২) পেকুয়া সদরের স্থানীয় হরিণাফাডী এলাকার মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি, দখলবাজি সহ নানা অভিযোগ আছে।
ওই সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পেকুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর পেয়ারা বেগম কে উলটো পেকুয়া থেকে বদলি করার হুমকিও দেন বলে জানা যায় । পরে ঘটনার বিষয় তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীকে অবগত করলে সেনাবাহিনীর একটি দল ঐ এলাকায় টহল দেন।
অভিয়ান পরিচালনা করতে এবং দেখতে যাওয়া উপস্থিত অনেকেই বলেন, এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে কোন সময় পড়ি নাই এবং দেখিও নাই। এটা আসলে এলাকার দুর্নাম। স্থানীয় অনেকের দাবি, যেখানে প্রশাসনের নিরাপত্তা নেই সেসব সন্ত্রাসীদের কাছে সেখানে সাধারণ মানুষ কি পরিমাণ দুর্ভোগে আছেন তা বলা মুশকিল বলে মন্তব্য করেন।
পরে একটি এসকেভেটর জব্দ এবং সাঈদী রহমান কে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ অভিযান বিকাল সাডে ৩ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুর পেয়ারা বেগম বলেন, সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা থেকে মাটি কেটে টপসয়েল নষ্ট করার বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে বাপ্পি সহ বহু ছেলেরা আমার সাথে তর্ক এবং মারমুখী আচরণ করতে থাকে, তখন আমি সাথে সাথে বিষয় টি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মহোদয়গনকে অবহিত করি।
তখন আরও পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে যোগ দেন। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল টহলে থাকেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এসকেভেটর জব্দ ও সাঈদী নামের একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
0 মন্তব্যসমূহ