কক্সবাজারে ওসি মঞ্জুরের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি ও হত্যার অভিযোগে ২ মামলা

 কক্সবাজারে ওসি মঞ্জুরের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা



পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও চাঁদাদাবীর অভিযোগে ওসি সহ ৪ জনের  বিরুদ্ধে  মামলা
//গভীর রাতে সাংবাদিক'কে তুলে নিয়ে নির্যাতন
//পুলিশ বলছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে
//কক্সবাজারে ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসিসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা এবং চার কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইনে মামলা হয়েছে। কক্সবাজার শহরস্থ পত্রিকা অফিস থেকে গভীর রাতে এক সাংবাদিককে অপহরণপূর্বক চকরিয়া থানায় তুলে নিয়ে হত্যাচেষ্টা, মারধর, লুটপাট ও চাঁদা দাবীশেষে সাজানো মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণের অভিযোগে ২৭ জানুয়ারী (সোমবার) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার এ মামলাটি দায়ের করেন
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ভিকটিম মনছুর আলম মুন্না।

এ মামলায় চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া, দুই এসআই যথাক্রমে ফরহাদ রাব্বি ইশান ও সোহরাব সাকিব, এএসআই পারভেজ ও চার কনষ্টেবলকে আসামী করা হয়েছে ।

এছাড়াও ২৬  জানুয়ারী, আরেকটি হত্যা মামলা হয়। যে মামলাটির অভিযোগ উল্লেখ আছে,  ২০১৩ সালের সাইদীর রায়কে ঘিরে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটাই এই ওসি।
ভুক্তভোগী পরিবার গত রবিবার ( ২৬ জানুয়ারি )কক্সবাজারের ঈদগাঁও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ওসি মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে  একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার ফৌজদারী দরখাস্তে বাদী উল্লেখ করেছেন, ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া চকরিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে আসদাচরণ, ঘুষ-দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জনসাধারণকে জিম্মি ও ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় ও হয়রানির অভিযোগ উঠে। এসব ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে তার উপর ক্ষেপে গিয়ে অপহরন ও হত্যার হুমকি দেন ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া।

ভিকটিম মুন্না বলেন, এরপর গত ২৫ জানুয়ারী গভীর রাতে প্রধান আসামী চকরিয়া থানার ওসির নির্দেশে সুদুর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার শহরের কৃষি অফিস সড়কের দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের কক্সবাজার অফিসে এসে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়  এসআই ফরহাদ রাব্বি ঈশান, এসআই সোহরাব সাকিব ও এএসআই পারভেজসহ ৪ জন কনস্টেবলসহ চকরিয়া থানার একদল পুলিশ।
মুন্না আরও বলেন বলেন, এরপরে কক্সবাজার থেকে যাওয়ার পথে রামুর পানিরছড়া ঢালায় নামিয়ে আমাকে মারধর করা হয়। এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে আরেকবার নির্যাতন করা হয় হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে।”
পরে দ্রুত বিচার আইনে চাঁদাবাজির মামলায় ২১ দিনের কারাভোগ শেষে জামিনে আছেন বলে জানান মুন্না।

বাদীর  আইনজীবি সালাহ উদ্দীন আহমদ বলেন, সাজানো এ মামলায় ওসি নিজেই বাদী ও নিজেই রেকর্ডকারী কমকর্তা। তিনি আরো বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গভীর রাতে নিজের আঞ্চলিক এখতিয়ার বহির্ভূত এলাকায় গিয়ে একজন সাংবাদিককে ধরে এনে নির্যাতন করা আইনের পরিপন্হী ও মানবাধিকার লংঘন।

অভিযুক্ত ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, মামলার বিষয়টি জেনেছি। নিজে বাদী হয়ে নিজেই মামলা রেকর্ডকারী কর্মকর্তা হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, রেকর্ডকারী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে থানার একজন কনস্টেবলও মামলা রেকর্ড করতে পারে। মামলা রেকর্ড হওয়ার সময় তিনি থানার বাইরে ছিলেন বলেও দাবী করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওসমান গনি বলেন বিজ্ঞ বিচারক আকতার জাবেদ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ রহমত উল্লাহ বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে আমি জেনেছি। যেহেতু তদন্তের বিষয়, তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ বলেন, মামলা বিষয়টি আমি অবগত নই। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ