কউক ভবনে চেয়ারম্যান আবছারের 'সরকারি বাসা; সতত্য পেল দুদক

 //বাড়ি ভাড়া নিয়েও ভবনে বাস; কউক চেয়ারম্যান আবছারের বিরুদ্ধে সত্যতা পেল দুদ

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবন

//সরকারি ভাতা নেওয়ার পরও কউক ভবনকে বানালো প্রাইভেট স্যুট; সত্যতা পেল দুদক
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অভিযানে জানা গেছে, বাড়ি ভাড়ার সরকারি ভাতা নেওয়ার পরও চেয়ারম্যান কউক ভবনের একটি সম্পূর্ণ তলা ব্যক্তিগত ব্যবহার করছেন।

কউক চেয়ারম্যান কমোডর নুরুল আবছার 



গত ২ জানুয়ারি কউক ভবনে অভিযান চালিয়ে দুদক এই তথ্য পেয়েছে। কউক ভবনের নিচতলায় রিসিপশনের আগে প্রবেশ পথের ডানপাশে চেয়ারম্যানের প্রাইভেট লিফট দিয়ে সোজা লিফট-৯/১০ম ফ্লোরে গেলে চেয়ারম্যানের দখলকৃত ফার্নিশড প্রাইভেট স্যুটগুলো দেখা যায়।

দুদকের উপপরিচালক মো. সুবেল আহমেদ জানিয়েছেন, কউক চেয়ারম্যানের সরকারি বাসস্থান এখনও বরাদ্দ না হওয়ায় তিনি সরকারিভাবে বেতনের সাথে বাড়ি ভাড়া পান। কিন্তু তিনি বাড়ি ভাড়া বাবদ টাকা পাওয়া সত্ত্বেও কউক অফিস ভবনের ১০ম তলার (লিফট-৯) দক্ষিণ পাশের সম্পূর্ণ ফ্লোর নিজে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন। যার জন্য সরকারকে তিনি কোন ভাড়া দেন না। বরং, তিনি অফিসের টাকায় উক্ত ফ্লোরে ফার্নিশড বেডরুমসহ পাঁচটি ফার্নিশড স্যুট সুসজ্জিত করে নিজের জন্য, পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও ব্যক্তিগত ক্লায়েন্টদের থাকার জন্য রিজার্ভ করে রেখেছেন।

সুত্রে জানা যায়, বাড়ি ভাড়া বাবদ সরকার থেকে বেতনের পাশাপাশি প্রায়  ৩০ হাজার টাকা পায় তারপরও অফিস দখল করে বেডরুম এর জন্যে রিজার্ভ করে রেখেছে কউক চেয়ারম্যান।

এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে কক্সবাজারে তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, জনগণের টাকায় নির্মিত ভবনে চেয়ারম্যান কীভাবে নিজের জন্য এত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন? এই ঘটনায় দুদকের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

সংশ্লিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে পারে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী, সরকারি পদে থাকা ব্যক্তি ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করলে তা দুর্নীতির অপরাধ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কক্সডিএ) চেয়ারম্যান কমোডর মো. নুরুল আবছার বলেন, 'দুদক যে অভিযোগ তুলেছে সেটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। আমি মাত্র একটি কক্ষে থাকি, পুরো ফ্লোর দখল করে বাসা বানাইনি। আমরা কিছু কক্ষ ফার্নিচার করে রেখেছি, যাতে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা আসলে তারা থাকতে পারেন।'"
তিনি আরও বলেন, "কক্সডিএ ভবনের নবম তলায় ভবন নির্মাণকালীন সময়ে নির্মিত ডরমিটরি রয়েছে। আমি, আমার সহকর্মী তাহসিন এবং কক্সডিএ'র সচিব মাঝে মধ্যে সেখানকার কয়েকটি কক্ষে থাকি। এটি কোনো বাসভবন নয়। সুতরাং এটিকে বাসভবন বা বাংলোর সমতুল্য বলা যায় না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ