বনের জায়গা দখলে নিয়ে গাড়ি পার্কিং করে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ বন বিভাগের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী কালারমার ছড়ার চালিয়াতলীতে বন বিভাগের জায়গা দখল করে সিমেন্টের গাড়ী লোড-আনলোড ও গাড়ি পার্কিং করে বন বিভাগ ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
৩০ জানুয়ারি ( বৃহস্পতিবার) সরেজমিনে দেখা যায় - বন বিভাগের শাপলাপুর বিট কার্যালয়ের জনতাবাজার ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশে সরকারি জায়গায় প্রতিদিন ৮-১০ টি সিমেন্টের গাড়ি উক্ত জায়গায় পার্কিং করে ডাম্পার যোগে সিমেন্ট লোড়-আনলোড করে প্রতি গাড়ি থেকে ৫০০-১০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে একটি সিন্ডিকেট।
চট্টগ্রামের কয়েকজন সিমেন্ট বহনকারী ট্রাকের ডাইভার বলেন- এখানে গাড়ি পাকিং করে সিমেন্ট লোড-আনলোড করা হয়। প্রতি গাড়ি থেকে কিছু লোক পাকিং বাবাদ ৫০০-১০০০টাকা করে চাঁদা নেন৷
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায় - মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার চালিয়াতলীতে সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় এহসান নামে একব্যক্তির জবর দখলে থাকা সরকারি বন বিভাগের জায়গায় অভিযান চালিয়ে উক্ত জায়গা দখল মুক্ত করা হয় এবং দখল মুক্ত জায়গার স্থায়ী নার্সারি করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানা যায়।
কিন্তু সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলি বদলী হওয়ার পর ভূমিদস্যু চক্র বন বিভাগের সাথে যোগসাজস করে উক্ত জায়গা ফের দখল নিতে মোটা অংকের টাকার চুক্তির বিনিময়ে সিমেন্টের গাড়ি পার্কিং ও সিমেন্ট লোড আনলোড় করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করে ভাগবাটোয়ারা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান-: বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে চালিয়াতলী প্রায় ৮০শতক জায়গা দখলমুক্ত করেন। সেখানে একপাশে জনতাবাজার ফরেস্ট ক্যাম্প করেন এবং অন্যপাশে নার্সারি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু বন বিভাগ একপাশে দখলে নিয়ে অন্যপাশে ভূমিদস্যুদের সাথে আতত করে গাড়ি পার্কিং করে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে। ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশে এভাবেই চাঁদাবাজি জবরদখল মেনে নেওয়া যায় না। এগুলো বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান-উক্ত জায়গা সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হয় এবং উক্ত জায়গায় নার্সারি করার কথা ছিল।
উক্ত জায়গায় গাড়ি পার্কিং করে চাঁদা বাজির বিষয়ে জানতে চাইলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলে কৌশলে এডিয়ে যান।
মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন-
উক্ত জায়গা দখলমুক্ত ছিলো। সেই জায়গা আবারও দখল হয়েছে কিনা বা উক্ত জায়গায় গাড়ি পার্কিং করে চাঁদাবাজি হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে তিনি জানেন না বলেন এবং তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ