সেলিম বাহিনীর ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ; না পেয়ে অপহৃতদের রগ কাটার অভিযোগ



অপহরণের পর দাবিকরা মুক্তিপণ না পেয়ে তিন যুবককে হাতের রগ কেটে এবং নানাভাবে নির্যাতন করেছে দুর্বৃত্তরা। 
পরে পরিবারের লোকজন ননজুড়িসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে অপহৃতদের জীবিত ফিরিয়ে এনেছেন। 
কক্সবাজারের মহেশখালীর ক্রাইমজোনখ্যাত কালারমারছড়ার পাহাড়ি এলাকায় রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। 
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন- কালারমারছরার নোনাছড়ির গোদারপাড়ার লেদু মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ (২০), মৃত শাহাব মিয়ার ছেলে মাহাবুব (৩৬) ও আবুল হোসেন ভেটকার ছেলে কামাল (২৫)।
 আহতরা জানান, কালারমারছরার নোনাছড়ি এলাকার এরফান, রফিক, জয়নাল, বেলাল, শাহজাহান, শাহাবউদ্দিন, মীর কাশেম ও আবছারসহ ১৫-২০ জন তাদেরকে নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। 

অপহরণকারীরা সেলিম বাহিনীর সদস্য জেনে তাদের পরিবারের সদস্যরা সেলিম চৌধুরীর কাছে যান। মহেশখালী উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও এমপি আশেকের আস্তাভাজন সেলিম চৌধুরী অপহৃতদের ছাড়তে জনপ্রতি দুই লাখ করে মোট ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। 

দাবি করা টাকা দিতে না পারার কথা জানালে তিনজনকেই প্রহার শুরু করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে আমান উল্লাহ’র বাম হাতের রগ কেটে এবং অপর দুজনকে লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক প্রহার করে। ফোনে এসব তথ্য পরিবারের সদস্যরা জানলে সেলিম চৌধুরীর কাছে স্থানীয় মেম্বারসহ গিয়ে অনুনয়-বিনয় ছাড়াতে চেষ্টা করে। 
নগদ টাকা দিতে না পারায় অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের তিন যুবককে ছেড়ে দেয়। 

তাদের উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন বিকেলে কক্সবাজার হাসপাতালে আনেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সেলিম চৌধুরী ব্যবহৃত (০১৭৬৫৪১৩৮৫৭) মুঠোফোনে বেশ কয়েক বার কল করা হয়। কিন্তু তার নম্বরে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। 

 মহেশখালী থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, পুরোনো দ্বন্দ্বে সেলিম-তারেক গ্রুপে মারামারি হয়েছে। এটি অপহরণ নয়। মামলা করলে থানায় আসতে আহতদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সুত্র-Jagonews - (২০ আগস্ট ২০১৭)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ