
আমি নাছির উদ্দিন, পেশায় একজন দিনমজুর। গত ২৮ সেপ্টেম্বর, পেকুয়া থানার একটি নাম্বার (01814729528) থেকে আমাকে ফোন করে মোঃ আরিফ (৪৫) নামে এক ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানানো হয়। ফোন করার ব্যক্তি নিজেকে পেকুয়া থানার পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে দাবি করে যে, আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ রয়েছে। এই ফোন কলের রেকর্ডিং আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। পরবর্তীতে একাধিকবার এই নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপর, গত ৬ সেপ্টেম্বর, অন্য একজন গণমাধ্যমকর্মীর নম্বর ব্যবহার করে এই নম্বরে ফোন করা হলে জানা যায় যে, নম্বরটি এহেসান নামে এক ব্যক্তির। তিনি নিজেকে পেকুয়ার একটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে, এই নম্বরটি পেকুয়া থানার কোন পুলিশ সদস্যের নয়।
৮ দিন পর, ৬ সেপ্টেম্বর, দৈনিক সাঙ্গুসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, "স্বামী অপহরণ হয় পেকুয়ায়, মুক্তিফোনের ফোন আসে পতেঙ্গা থেকে"। এই সংবাদে উল্লেখ করা হয় যে, মোঃ আরিফ নামে এক কলেজ শিক্ষককে ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় তার নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয় যে, অপহরণের দিন রাতেই আমার সাথে তার জমিজমার বিষয়ে শালিসি বিচারের কথা ছিল। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
২৮ সেপ্টেম্বর আমার সাথে আরিফের কোন শালিসি বিচারের কথা ছিল না। আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগের কারণ হতে পারে, অপহরণের দিনই একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ভূয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে ফোন করে এবং আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রয়েছে বলে জানায়। এই ঘটনাটি আমাকে সন্দেহ করে তোলে যে, কেউ যেন আমাকে এই ঘটনায় জড়িত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমি প্রশাসন এবং সচেতন মহলের কাছে আবেদন করছি যাতে তারা প্রকৃত অপহরণকারীদের খুঁজে বের করে।
প্রতিবাদকারী
নাছির উদ্দিন,
হরিণা ফাঁড়ি, পেকুয়া , কক্সবাজার
0 মন্তব্যসমূহ