আর বিএন রিপোর্ট:

কক্সবাজারের বৈদ্যঘোনায় রিংকন দাশ (৩৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের বৈদ্যঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত রিংকন গোলদিঘির পাড় যাদী পাহাড় এলাকার সোনারাম দাশের ৩য় পুত্র।
অপর আহতরা হলেন- বৈদ্য ঘোনার সুমতির পুত্র জুয়েল দাশ (৪০) ও রিংকনের পিতা সোনারাম দাশ (৬৭)।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে রিংকনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, 'গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার সময় রিংকন দাশের মুদির দোকানের সামনে কাঁদা জমে থাকাকে কেন্দ্র করে রিংকনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় পারিজাত ভবনের রিপন ধরের সাথে।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিপন ধর রিংকনের গায়ে হাত তুলে। এসময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হলে রিপন ফোন করে অমল, সুব্রত, সুবল, যীশু, অভি, অয়ম, মিহির, রুবেল, প্রকাশ, ও সুবাসকে ডেকে নিয়ে এসে রিংকনকে মারধর করে। এসময় রিংকনের মুদির দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় রিপনের পক্ষের লোকজন। '
পরবর্তীতে স্থানীয়রা র্যাব ও সেনাবাহিনীকে জানালে সাথে সাথে র্যাব ও সেনাবাহিনী এসে দুপক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান, এবং র্যাব বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
কিন্তু সকালে রিংকন দোকান খুলতে এলে সকাল ৯ টার সময় আবারও হামলা চালায় রিপন ও তার লোকজন। এসময় রিংকনকে কুপিয়ে ডান হাতের কব্জি বিছিন্ন করে ফেলে বলে অভিযোগ করেন রিংকনের পিতা সোনারাম দাশ।
তিনি বলেন, 'গত কালকের ঘটনা নিয়ে র্যাব আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তারা বলেছেন ঘটনার সুরাহা করবে। আমরা তা মেনেছি, রিপনও র্যাবের কথা মেনে নিয়েছে। কিন্তু সকালে আমার ছেলে দোকান খুলতে এলে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে রিপন ধর আমার ছেলে রিংকনের উপর হামলা চালায়। কুপিয়ে বিছিন্ন করে ফেলে আমার ছেলের হাত। প্রথমে আমার ছেলেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেয়। ডাক্তাররা বলেছে আজকের মধ্যে হাত জোড়া লাগাতে না পারলে আর জোড়া লাগানোর সম্ভাবনা নাই। রিপন ধর র্যাবের কথাকে অমন্য করে আমার ছেলেকে এখন মৃত্যর পথে ঠেলে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার ছেলের উপর আক্রমণকারীদের বিচার দাবী করি। আমি সবার কাছে আশীর্বাদ চাই যাতে আমার ছেলে বেঁচে ফিরে আসে।'
এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে বক্তব্যের জন্য অভিযুক্ত রিপন ধরকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো ধরনের মামলা করা হয়নি। তবে ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান আহতের পিতা।
এই বিষয়ে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা যদি মামলা করে তবে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
0 মন্তব্যসমূহ