সাদাপোশাকে লালদিঘি থেকে প্রতিদিনের কাগজের সাংবাদিককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

 প্রতিদিনের কাগজঃ


কক্সবাজার শহর থেকে সাদাপোশাকে সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্নাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে আটকের বিষয়টি 

জানে না কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ। আজ বুধবার ( ৩ এপ্রিল প্রায় ২.৩০ মিনিটের সময় কক্সবাজার শহর থেকে তাকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। মনসুর আলম মুন্না দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার কক্সবাজার জেলার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত। সাংবাদিক মুন্না দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে আসছে ।

গত কয়েকদিন আগে মুন্নাকে ধরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তারপর চালানো হয় নির্যাতন । তারপর তার কাছ থেকে কয়েকটি স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন। সাংবাদিক মুন্না প্রতিকার চাইতে কক্সবাজার সদর থানায় তিন দিন আগে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সদর থানার ওসিকে সাংবাদিক মুন্না বারবার অনুরোধ করে বলেন, স্যার আমাকে যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা মেরে ফেলবে না হয় আমাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসৎ সদস্যদের দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিবে। এমনভাবে ওসিকে অনুরোধ করার পরেও তিন দিনেও কক্সবাজার সদর থানার ওসি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনী ব্যবস্থা নেয়নি ।

আজ (৪ এপ্রিল) অনুমান দুপুর আড়াই ঘটিয়ার সময় কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাড় থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি সাংবাদিক মুন্নার সহকর্মীদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। এবিষয়ে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন জানান, আজ দুপুর আড়াইটা সাংবাদিক মুন্নাকে সাদাপোষাকে ধরে নিয়ে যায়। আমাকে মুন্নার স্ত্রী কুলসুম ঘটনাটি জানিয়েছেন। আটকের বিষয়টি পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়েছি। সাংবাদিক মুন্নার স্ত্রী কুলসুম জানান, আমার স্বামী একজন পেশাদার সাংবাদিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। কয়েকদিন ধরে কিছু অপরাধী সাংবাদিক মুন্নার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমার স্বামীকে কয়েকদিন আগে অপহরণ করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে অশালীন ভিডিও করে ছেড়ে দেন ।

সাংবাদিক মুন্না বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আজ (৩ এপ্রিল) আড়াইটার সময় সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্নাকে কক্সবাজার শহরের লালদীঘি পাড় থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি ধরে নিয়ে যায়। এ সময় সাংবাদিক মুন্নার সহকর্মীরা পাশে ছিলেন। সাংবাদিক মুন্নার স্ত্রী কুলসুম আরও জানান, আমার স্বামীর প্রতিপক্ষরা অর্থাৎ অপহরণকারীরা থাকে তুলে নেওয়ার সময় পাশে দাঁড়ানো ছিল। কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, ‘সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্না ও তার স্ত্রী আজ দুপুরে (৩ এপ্রিল) আমার সাথে দেখা করেন থানায় ।

ওসি বলেন, মুন্নার অভিযোগ মামলা হয়েছে কিনা জানতে এসেছিলেন থানায় । ওসির কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা, মুন্নার বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা? ওসি বলেন, কোন মামলা হয়নি। সাংবাদিক মুন্নাকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে গেছে কয়েকজন ব্যক্তি, আপনি শুনেছেন কিনা? জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমি জানিনা। তবে আমি খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার জানান, অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা এ কাজ করেছে, সঠিক করিনি, ভালো করিনি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমরা জরুরী বৈঠক করবো। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্তের দাবী জানাই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ