বোরহান উদ্দিনঃ
কক্সবাজার পৌরসভার রাস্তার কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে উদীয়মান সাংবাদিক প্রথম সারির জাতীয় ইংরেজি গণমাধ্যম " দ্যা ডেইলি পিপলস লাইফ" পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ও কক্সবাজার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক আপনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েলকে পৌরসভার কথিত ঠিকাদার হেলাল গালিগালাজ ও এক পর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এই বিষয়ে তিনি গত শুক্রবার কক্সবাজার সদর মড়েল থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেছেন। জিডি নং-১৪১৪ সাধারণ ডায়রীতে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক জুয়েল ১৯ মার্চ বিকাল ৪:৪৫ টার সময় কক্সবাজার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের টিএনটি অফিস সংলগ্ন চৌধুরী পাড়া রোড়ের পাশে নালা নির্মাণ ও রাস্তা নির্মাণের কাজে নিম্নমানের কাচাঁমাল ও পুরাতন ইট ব্যবহারের বিষয়ে জানতে ঠিকাদার হেলালের মোবাইলে কল দিলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় ভীতিকরভাবে গালিগালাজ ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। যার কারনে আমি মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছি।
আমি পরেক্ষণে জানতে পারি তিনি সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাকে সরাসরি চিনতাম না। উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জনবল সংকট ও তদারকি ছাড়াই চলছে কক্সবাজার পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার হেলাল উন্নয়নের কাজ।
এমনই একটি কক্সবাজার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের টিএনটি অফিস সংলগ্ন চৌধুরী পাড়া রোড়ের পাশে নালা নির্মাণ ও রাস্তা নির্মাণের কাজে নিম্নমানের কাচাঁমাল ব্যবহারের অভিযোগ উঠে। সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে ৩০০ মিটারের একটি রাস্তার আরসিসি ঢালাই ও নালা নির্মাণের কাজে উক্ত রোড়ের ব্যবহৃত পুরাতন নষ্ট ইট তোলে সেগুলো আবার ব্যবহার হচ্ছে।
গোপনীয় সূত্রে জানা যায়,উক্ত কাজের বিষয়ে এক সাংবাদিককে পৌরসভার ভেন্ডার হেলাল স্বীকার করেন যে, ইটগুলো নষ্ট না করেই নালার সাইডওয়াল তৈরি সহ রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি পুরাতন ইট গুলো পেয়ে নিজেকে ভাগ্যমান বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে তিনি দাবি করেন, কক্সবাজারের অনেক সাংবাদিক তার হাতের মুঠোয় এবং তাদের অনেকেই তার বন্ধু ও ছোট-বড় ভাই সম্পর্কিত।
তিনি আরও বলেন আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে করেন এমনকি মেয়র মাহাবুবুর রহমানকেও বলেন তাতে আমার কিছুই হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
একটি পত্রিকার প্রতিবেদক উক্ত কাজের স্টিমিট ও তথ্য জানতে পৌরসভার প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমার অফিসে যায়। তবে তিনি সংবাদকর্মীদের তা দিতে পৌর মেয়রের নিষেধ আছে বলে জানান। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকার জন্যে অনুনয় ও বিনয় করেন এবং সে সাথে রাস্তা ও নালার সাইডওয়াল নির্মাণের অনিয়মের বিষয়টি মেয়রকে না জানানোর অনুরোধ করেন।
এছাড়া পৌরসভায় লোকবল সংকট থাকায় ঠিকাদারদের কাজ তদারকি করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। তবে ৭ মার্চ বিষয়টি অবগত করার পরেও ৪ দিন পার হয়ে গেলেও পৌরসভা নেয়নি কোন ব্যবস্থা এবং আগের নিয়মে পৌরসভার কাজ চলমান রাখে।
একপর্যায়ে এলাকার স্থানীয়দের মাঝে এই অনিয়মের সাথে পৌরসভার কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকার মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে ও সাংবাদিকদের চাপের মুখে ১০ মার্চ সরেজমিনে গিয়ে এক প্রকৌশলী কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়। যদিও ততক্ষণে ৩০০ মিটার রাস্তার প্রায় ২৫০ মিটারের অধিক নালা নির্মাণে পুরাতন ইট ও নিম্নমানের কাচামাল ব্যবহার হয়।
কিন্তু বাকি ৫০ মিটার রোড়ের নালা নির্মাণে লোক দেখানো নতুন কিছু ইট এনে কাজ শুরু করলেও কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় ঠিকাদার হেলাল। কিন্তু বেশি দিন কথিত ঠিকাদার হেলালের কাজ বন্ধ রাখতে পারেনি পৌরসভা। পুনরায় রাস্তার কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমানের বক্তব্য নিতে মুঠোফোন বার বার কল দিলে যোগাযোগ করা সম্ভব হইনি তবে তিনি ক্ষুদে বার্তায় জানান। আমি ব্যবস্থা নিব।
0 মন্তব্যসমূহ