যিনি প্রক্টর, তিনিই প্রভোস্ট

রেদ্ওয়ান আহমদ, চবি:

কাউকে কিছু না জানিয়ে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হঠাৎ করেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহীদ আবদুর রব আবাসিক হলের প্রভোস্টের পদ থেকে গোপনে পদত্যাগ করেছেন ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের তথ্য মতে, ড. মো. দানেশ মিয়ার পদত্যাগের পর গত ১১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলছেন, বর্তমান প্রশাসনের অন্যায় অনিয়মের আরেকটা নজির হলো এক ব্যক্তিকে অনেকগুলো প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য প্রশাসনিক লোকের অভাব পড়েনি যে, একজনকে একাধিক দায়িত্ব নিতে হবে! একজনের পক্ষে বহু দিকে নজর দেয়া কখনোই সম্ভব হয় না। 

এ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদারের কাছে জানতে চাইলে ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ভিসি আমাকে শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সবার সহযোগিতায় আশা করছি, প্রক্টরিয়াল দায়িত্ব পালনের পরও আমি আমার এই দায়িত্বটাও ঠিকঠাক পালন করতে পারব। 

পদত্যাগ করা প্রভোস্ট ড. মো. দানেশ মিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে শহীদ আবদুর রব হলের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।

একই সাথে একাধিক প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন শিক্ষাদানে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কিনা জিজ্ঞেস করলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো কাজই সন্তোষজনক নয়। তাছাড়া, একজন লোক একাধিক প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করাটাও সমীচীন নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অভাব পড়েনি যে, একজনকে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। 


তিনি আরও বলেন, প্রশাসন চায় সবকিছু তাদের লোকবলে পরিপূর্ণ থাকুক। বিশ্ববিদ্যালয়কে যেমন ইচ্ছা তেমন পরিচালনা করুক। সেজন্যই প্রক্টরকে আবার প্রভোস্টের দায়িত্ব দিয়েছে। এমনকি প্রায় সব সহকারী প্রক্টরই কোন না কোন হলের আবাসিক শিক্ষক। একজন লোক কখনো এত দায়িত্ব পালন করতে পারে না। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ