খুরুশকুল সেতু: আধা ঘণ্টার দূরত্ব, ৩ মিনিটেই পার হবে
-ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র তিন মিনিটের দূরত্বে বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে খুরুশকুল সেতু। গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে সর্বসাধারণের জন্যে ৩০ ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হয়েছে । সেতুটি নির্মিত হওয়ায় কক্সবাজার শহর ও খুরুশকুল এলাকার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। এর ফলে উভয় এলাকার মানুষের যাতায়াতের সময় ও ব্যয় কমবে।। এছাড়াও, খুরুশকুল এলাকায় পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ব্রীজ যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত কারণ খুরুশকুল এলাকার মানুষের জন্য কক্সবাজার শহরমুখী যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌপথ। এতে তাদের দীর্ঘ সময় ও অর্থ ব্যয় হতো। খুরুশকুল সেতু নির্মিত হওয়ায় এই সমস্যার সমাধান হয়েছে । এ সেতু দিয়ে গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে পারবে।ফলে, খুরুশকুল থেকে কক্সবাজার শহরে যাওয়ার সময় ও ব্যয় কমে যাবে। এতে উভয় এলাকার মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি টুরিস্ট স্পট হিসেবে খুরুশকুল ও চৌফলদন্ডি পর্যটন টানতে পারবে বলে আশাবাদী অনেকের।
পর্যটন ও অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা বাড়বে এই ব্রীজের কারণে -খুরুশকুল এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানে রয়েছে পাহাড়, বাঁকখালী নদী, কয়েকটি জলাভূমি এবং পরিযায়ী পাখিদের বিচরণ।
খুরুশকুল সেতু নির্মিত হওয়ায় এই এলাকার পর্যটন সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে। এ সেতু দিয়ে পর্যটকরা সহজেই খুরুশকুল এলাকায় আসতে পারবেন।
এছাড়াও, খুরুশকুল এলাকায় সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প, কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এবং শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প। খুরুশকুল সেতু নির্মিত হওয়ায় এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন সহজতর হবে। এতে এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে।
খুরুশকুল সেতু নির্মাণের কাজটি এলজিইডির অধীনে সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে। এলজিইডির কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করেছেন।সেতুটি নির্মাণে ২৫৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এটি দেশের সর্বপ্রথম ব্যয়বহুল ও আধুনিক সেতু।
খুরুশকুল সেতু কক্সবাজারের যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ সেতু নির্মিত হওয়ায় উভয় এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । "
0 মন্তব্যসমূহ